হাওজা নিউজ এজেন্সি: গতকাল (বৃহস্পতিবার) ইহুদিবাদী চ্যানেল ফোরটিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, সৌদি আরবের কাছে পর্যাপ্ত খালি জমি আছে- যেখানে তারা একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্য এলাকায় স্থানান্তরের পরিকল্পনা ঘোষণা করার পর নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য এসেছে। উগ্র ইহুদিবাদীরাও এই পরিকল্পনার প্রশংসা করেছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে 'স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র' প্রতিষ্ঠার শর্ত দিয়েছে সৌদি সরকার। সম্প্রতি রিয়াদ বলেছে, ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূখণ্ড থেকে সরানোর যেকোনো চেষ্টার বিরোধিতা করবে তারা।
সৌদি আরবের অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে নেতানিয়াহু বলেন, “ইসরায়েল রাষ্ট্রকে বিপন্ন করবে, এমন কোনো চুক্তি তিনি করবেন না। বিশেষ করে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র তো নয়ই। ৭ অক্টোবরের পরও? আপনি কি জানেন সেটা কী? একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র ছিল, এটিকে গাজা বলা হতো। হামাসের নেতৃত্বে গাজা ছিল একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র এবং দেখুন, আমরা কী পেয়েছি, হলোকাস্টের পর সবচেয়ে বড় গণহত্যা।”
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন নেতানিয়াহু। ওই সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিতে তাঁর পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু বলেন, “আমি মনে করি, ইসরায়েল এবং সৌদি আরবের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি কেবল সম্ভাবনাই নয়; আমি মনে করি, এটি ঘটতে চলেছে।’
তবে ওই সংবাদ সম্মেলনের পরপরই সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবে না। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করছে যে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সৌদি আরবের অবস্থান দৃঢ় এবং আপোষহীন থাকবে।
আপনার কমেন্ট